ইনিংস ও ১০৬ রানের ব্যবধানে টাইগারদের দাপুটে জয়

চট্টগ্রাম টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পেল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল । এই জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সমতায় ফিরল টাইগাররা।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম হয় সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। পাহাড় ঘেষা সিলেট স্টেডিয়ামে ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের মতো তুলনামূলক দলের বিপক্ষে ৩ উইকেটে হেরে সমালোচনার মুখে পড়ে টাইগাররা।
তবে চট্টগ্রামের সাগরিকায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুন্য এবং সাদমান ইসলাম অনিকের সেঞ্চুরি আর তাইজুল ইসলামের অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরল স্বাগতিকরা।
চট্টগ্রামে শেষ টেস্টে মেহেদি হাসান মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দুইদিন হাতে রেখেই ইনিংস ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। দলের জয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি বল হাতে ৫ উইকেট শিকার করেন মিরাজ।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবুয়ে।
প্রথম ইনিংসে সেন উইলিয়ামস (৬৭) ও নিক ওয়েলচের (৫৪) জোড়া ফিফটিতে ভর করে ২২৭ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে ২৭.১ ওভারে ৬০ রান খরচ করে ৬ উইকেট শিকার করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক ও মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান মেহেদি হাসান মিরাজের জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪৪৪ রান করে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১৬টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ১২০ রান করেন সাদমান ইসলাম অনিক।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের পর লেজের ব্যাটসম্যানদের নিয়ে লড়াই করে দলকে বড় লিড উপহার দেওয়ার পাশাপাশি টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেন মিরাজ। তার ১০৪ রানের ইনিংসটি ১১টি চার আর একটি ছক্কায় সাজানো।
এছাড়া ৪১ রান করেন পেস বোলার তানজিম হাসান সাকিব। ৪০ রান করেন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ৩৯ রান করেন ২০২২ সালের জুনের পর টেস্টে ফেরা এনামুল হক বিজয়। ৩৩ রান করেন মুমিনুল হক সৌরভ।
সুত্রঃ যুগান্তর