বাদল আহমেদ,নবীগঞ্জ।। নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের ফারুক মিয়া নামে এক ব্যাক্তি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেছেন, তাদের গ্রামের পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা প্রভাবশালী ইছাক মিয়া ও আব্দুস সালাম গংরা গত ৪ মে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তাদের অত্যাচারে নিরীহ ফারুক মিয়া বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় শহরের একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফারুক মিয়ার কন্যা মোছাম্মত ডলি বেগম। এ সময় তার পাশে পিতা ফারুক মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে ফারুক মিয়া বলেন, তার পার্শ্ববর্তী বাড়ির বাসিন্দা খতিব উল্লার পুত্র ইছাক মিয়া গংদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে তার সাথে বিরোধ চলে আসছে। এসব বিষয় নিয়া মাননীয় আদালত ও থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ফারুক মিয়া একজন নিরীহ প্রকৃতির লোক উল্লেখ করে বলেন, ইছাক মিয়া, আব্দুস সালাম গংরা অত্যান্ত প্রভাবশালী, দাঙ্গাবাজ, ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক। তারা গ্রাম্য বিচার সালিশ মানে না। তাদের মন ইচ্ছামতো চলাফেরা করে এমনকি তারা থানা পুলিশের পরোয়া করে না।
কিছুদিন পূর্বে ফারুক মিয়ার বাড়ির বিদ্যুতের লাইন অবৈধ ভাবে কেটে ফেলে আব্দুস সালাম। তখন ফারুক মিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ গত ০৪ মে ২০২৫ইং তারিখে পূনরায় সংযোগ দিতে গেলে আব্দুস সালাম গংরা বাধা দেয়। এই সময় ফারুক মিয়া বাধ্য হয়ে থানা পুলিশকে ফোন দিলে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তার বাড়িতে যান। তাদের সাথে দুইজন সাংবাদিকও আসেন। সাংবাদিকদের তিনি চিনেন না বা দাওয়াতও দেননি। তারা সেচ্ছায় পুলিশের সাথে গেছেন বলে তারা জানিয়েছেন। এসময় আব্দুল সালাম, ইছাক গংরা পুলিশ ও সাংবাদিকদের ফোন কেড়ে নিয়ে যায় এবং তাদের উপর হামলা চালায়।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক মিয়া আরো বলেন, দীর্ঘদিন যাবত আব্দুস সালাম ও ইছাক গংদের অত্যাচারে তিনি অতিষ্ঠ ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা গ্রামের মুরুব্বিয়ানদের কথা অমান্য করে প্রতিনিয়ত তার ও তার পরিবারের উপর বিভিন্ন ভাবে জুলুম অত্যাচার করে আসছে। ঘটনার সময় অর্থ্যাৎ ৪ মে ২০২৫ইং তারিখে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা তাদেরকে মারতে আসে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। পুলিশ চলে আসার পর তারা আরও প্রবল হয়ে তাকে ঘর থেকে ধরে নিয়া যাওয়ার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এ সময় তারা তার বাড়ির সীমানার পিলারের রড কেটে নিয়ে যায়।
ফারুক মিয়া আরো বলেন, ইছাক মিয়া ও আব্দুস সালাম গংদের বিরুদ্ধে অসংখ্য সন্ত্রাসী মামলা রয়েছে। তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। তার বাড়ির সীমনা দিতে গিয়ে গ্রামের শালিস বিচারক ও তাদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। পরবর্তীতে সালাম গংদের ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে ওয়াল দিতে হয়েছে। সালাম গংদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা তদন্তাধীন আছে বলেও তিনি জানান। সালাম গংরা যে কোন সময় তাকে খুনসহ নানান রকম ক্ষতি সাধনের পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলেও তিনি সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
Leave a Reply