ইনাতগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প রোববার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘পাগল’ আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেছেন যে, ইউক্রেন পুরোপুরি দখলের চেষ্টা করলে ‘রাশিয়ার পতন ঘটবে’। একটি জোরালো বার্তায় ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, আমি সবসময় পুতিনের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখেছি। কিন্তু এখন তার কিছু একটা হয়েছে। তিনি একেবারে পাগল হয়ে গেছেন! কোনো কারণ ছাড়াই তিনি শহরে শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা করছেন। শুধু সেনা নয়, অনেক সাধারণ মানুষও মারা যাচ্ছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।ট্রাম্প আরও বলেন, আমি সবসময় বলেছি, পুতিন ইউক্রেনের একটা অংশ নয়, পুরোটা চায়। এখন হয়তো সেটাই সত্যি প্রমাণ হচ্ছে। কিন্তু যদি সে তা করে, তাহলে তা হবে রাশিয়ার পতনের সূচনা! পূর্বে পুতিনের প্রশংসা করলেও সম্প্রতি ট্রাম্প রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণ ও যুদ্ধবিরতির আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
মরিসটাউন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প বলেন, আমি জানি না তার কী হয়েছে। আমি পুতিনকে অনেক দিন ধরে চিনি, সবসময় তার সঙ্গে মিলেমিশেই চলেছি। কিন্তু তিনি এখন শহরে রকেট ছুড়ছেন, মানুষ মেরে ফেলছেন। আমি এটা একেবারেই পছন্দ করছি না।
তিনি একইসঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেন, তিনি যেভাবে কথা বলেন, সেটা সমস্যার কারণ। আমি সেটা পছন্দ করি না, আর এটা বন্ধ হওয়া দরকার।
ট্রাম্প পুনরায় দাবি করেন যে, আমি প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। এটা জেলেনস্কি, পুতিন ও বাইডেনের যুদ্ধ, ‘ট্রাম্পের’ নয়। আমি কেবল চেষ্টা করছি বড় বড় আগুন নিভাতে, যা তৈরি হয়েছে চরম অদক্ষতা ও ঘৃণা থেকে।
সম্প্রতি রাশিয়ার চালানো সর্ববৃহৎ আকাশ হামলায় ১৩ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮ ও ১২ বছর বয়সী দুটি শিশু এবং ১৭ বছরের এক কিশোর রয়েছে। হামলাটি হয় ইউক্রেনের ঝাইটোমির অঞ্চলে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে বলেন, রাশিয়ার নেতৃত্বের ওপর সত্যিকারের চাপ না দিলে এই বর্বরতা থামবে না। এই হামলার কয়েকদিন আগেই উভয় দেশ ১,০০০ করে বন্দি বিনিময় করেছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা সর্ববৃহৎ।
ট্রাম্প সোমবার দুই ঘণ্টার ফোনালাপে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন যে, মস্কো ও কিয়েভ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ বসতে যাচ্ছে। তবে পুতিন কোনো যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি দেননি। তিনি শুধু বলেন, একটি ‘সমঝোতা স্মারক’ তৈরির মাধ্যমে মস্কোর শান্তির দাবি তুলে ধরা হবে।
Leave a Reply