বজ্রপাত ও ঝড়ে সারাদেশে একদিনে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১১ মে) দুপুর থেকে রাতের মধ্যে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও আখাউড়ায় বজ্রপাতে শিশু ও কৃষকসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দুপুরে নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের টেকানগর গ্রামে, একই উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ এলাকায়, ভলাকুট ইউনিয়নের ও আখাউড়ায় এসব বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সরাইলের কালিকচ্ছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, নাসিরগরের গোর্কণ গ্রামের শামসুল হুদা, ভলাকুট ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে জাকিয়া বেগম, আখাউড়া উপজেলার রুটি গ্রামের সেলিম মিয়া ও বনগজ গ্রামের জামির খাঁ।
এদিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব, কুলিয়ারচর ও করিমগঞ্জে বজ্রপাতে চারজন মারা গেছেন। রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- ভৈরবের সাদেকপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের ফারুক মিয়া (৬০), শ্রীনগর ইউনিয়নের ফয়সাল মিয়া (২৮) এবং কুলিয়ারচরের ছয়সূতি ইউনিয়নের হাজারীনগর গ্রামের কবির মিয়া (২৫)।
অপরদিকে কাটা ধান আনতে গিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বজ্রপাতে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অপর এক শ্রমিক। সন্ধ্যায় উপজেলার আন্ধারুপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত খবির উদ্দীন (৪৫) উপজেলার কাপাশিয়া এলাকার জালাল উদ্দীনের ছেলে। আহত সকুল উদ্দীন (২০) একই এলাকার জামাল উদ্দীনের ছেলে।
এছাড়া কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে ময়মনসিংহ সদরের আলাদা স্থানে গাছ উপড়ে চাপা পড়ে এবং ডাল ভেঙে প্রাণ গেছে দুইজনের মৃত্যু হয়। বিকেলে সদর উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের মরাকুড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সজীব মিয়া (২০) ও সুরুজ মিয়া (৭০)।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে কালবৈশাখী ঝড়ের সময় মরাকুড়ি বাজার সংলগ্ন স্কুলের পেছনে গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আশ্রয় নেন নির্মাণ শ্রমিক সজীব মিয়া। এসময় ঝড়ে গাছটি উপড়ে পড়লে গাছের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান সজীব। অন্যদিকে একই এলাকায় একটি মাছের ঘেরের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন কৃষক সুরুজ মিয়া। এসময় একটি ডাল ভেঙে পড়লে প্রাণ হারান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খান।
এদিকে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বজ্রপাতে যুবক এবং নওগাঁর মান্দায় বজ্রপাতে একজন নিহত হয়েছেন।
দৈনিক ইনাতগঞ্জ বার্তা/ ইকবাল
Leave a Reply