‘তাকবিরে তাশরিক’ কী, পড়ার নিয়ম ও উচ্চারণ

ইনাতগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ ‘তাকবিরে তাশরিক’ হলো একটি দোয়া। যেটি কোরবানির ঈদের আগে-পরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পড়তে হয়। প্রতি বছর জিলহজ মাসের ৯ তারিখ অর্থাৎ ঈদের আগের দিন ফজরের ফরজ নামাজের পর থেকে ১৩ই জিলহজ অর্থাৎ ঈদের চতুর্থ দিন আসরের নামাজ পর্যন্ত পাঠ করা ওয়াজিব। মোট ২৩ ওয়াক্তে এই দোয়াটি পড়তে হয়।
এটি পাঠ করার নিয়ম : এই সময়ে প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পরে দোয়াটি পড়তে হয়।
দোয়াটি হলো :
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
অর্থ : আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য। অবশ্য কোনো কোনো সাহাবী থেকে তাকবিরে তাশরিকের সঙ্গে অন্য কিছু মিলিয়ে পড়ার বর্ণনাও পাওয়া যায়। যেমন হযরত ইবনে উমর রা. তাকবিরে তাশরিকের আগে তিনবার আল্লাহু আকবার বলতেন। (আলআওসাত, হাদিস : ২২০১) কারা পড়বেন : এটা ফরজ নামাজের পর প্রত্যেক বালেগ পুরুষ-মহিলা, মুকিম, মুসাফির, গ্রামবাসী, শহরবাসী, জামায়াতের সঙ্গে নামাজ পড়ুক বা একাকী পড়ুক প্রত্যেকের উপর একবার করে তাকবিরে তাশরিক পাঠ করতে হবে। (ফাতাওয়ায়ে শামী, বাহরুর রায়িক) কতবার পড়তে হয় : আর পূর্ণ তাকবিরে তাশরিক তিনবার পড়ার বর্ণনা খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফিকহবিদগণও তিনবার বলার প্রতি গুরুত্ব দেন না। অবশ্য কেউ যদি সুন্নত মনে না করে এমনিতেই তিনবার বলে তবে সেটাকে বিদআত বলাও উচিত নয়। (আলআওসাত, হাদিস : ২১৯৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদিস : ৫৬৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৫২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৭; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬৫)