স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াপাথারিয়া গ্রামের তাহির মিয়া। সাধারণ একজন মানুষ, কিন্তু এক অসাধারণ পিতা। তাঁর ছোট ছেলে অনিক দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিল। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে অনিককে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তার প্রিয়জনেরা। কিন্তু ডাক্তারদের মুখে যখন শোনা গেল, জন্মগত ত্রুটির কারণে অনিকের কিডনি আর বেশিদিন চলবে না, তখনি শুরু হয় এক নিঃস্বার্থ সংগ্রাম। কিডনি প্রতিস্থাপনই ছিল একমাত্র উপায়। শুরু হয় মিলে যাওয়ার আশায় খোঁজ। শেষমেশ, মিল পেলেন পিতা তাহির মিয়া। পঞ্চাবয়সে নিজের কিডনি দিয়ে সন্তানের জীবন বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নিতে তাঁর একটুও দ্বিধা হয়নি। গতকাল সেই অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন তিনি। ডাক্তাররা জানান, বাবা-ছেলে দুজনেই ভালো আছেন। পিতার হৃদয়ের গভীরতা যে মাপা যায় না, তার প্রমাণ তাহির মিয়ার সাহসিকতা। সন্তানের জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নেয়া, এ যেন নিঃশর্ত ভালোবাসার এক জীবন্ত উদাহরণ। বাবারা হয়তো কম বলেন, কিন্তু তাদের ভালোবাসা পাহাড়সম। হৃদয় বিদারক এই দৃশ্য যেন মন ছুয়ে গেছে সবার। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে বন্ধনা।
Leave a Reply