নবীগঞ্জে চলন্ত বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে পালাক্রমে ধর্ষণ

স্টাফ রিপোর্টার।। নবীগঞ্জ সালামতপুর এলাকায় যাত্রীবাহি বাসে গার্মেন্টস কর্মীকে একা পেয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে চালক ও হেলপার। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা বাস চালক মোঃ সাব্বির মিয়াকে আটক করে সেনাবাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। পরে সেনাবাহিনী তাকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। তবে বাসের হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোঃ কামরুজ্জামান।
আটককৃত বাস চালক সাব্বির নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতাবাদ বাংলাবাজার এলাকার ছাতির আলী ছেলে। পালিয়ে যাওয়া হেলপার লিটন মিয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বাসিন্দা।
জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার বড় বাজার এলাকার বাসিন্দা ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করে সে গতকাল ঢাকার ফার্মগেট থেকে ‘বিলাশ পরিবহন’ নামের বাসে বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। পথে শায়েস্তাগঞ্জে নামার কথা থাকলেও ওই ছাত্রী ঘুমিয়ে পড়ায় বাসটি শেরপুর পর্যন্ত চলে যায়। শেরপুরে ঘুম ভেঙে তিনি নবীগঞ্জ হয়ে আজমিরীগঞ্জ যাওয়ার জন্য ‘মা এন্টারপ্রাইজ’ নামের বাসে উঠেন।
আউশকান্দি অন্যান্য যাত্রীরা নেমে যাওয়ার পর বাসে সে একা থাকলে চালক সাব্বির ও হেলপার লিটন পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। সালামতপুর এলাকায় আসলে চিৎকার করলে ভুক্তভোগী আশপাশের লোকজন পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌছলে জনতা বাস চালক সাব্বিরকে আটক করে সোপর্দ করেন। তবে হেলপার লিটন মিয়া পালিয়ে যায়। পরে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ ভিকটিম কলেজ ছাত্রী ও ধর্ষক বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি শেখ মোঃ কামরুজ্জামান জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে বাস চালককে জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছে। হেলপার লিটন পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।