1. anjhonroy1@gmail.com : Anjhon Roy : Anjhon Roy
  2. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  3. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  4. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  5. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন

উত্তেজনা বাড়াচ্ছে ভারতের পুশইন, চিঠি পাঠানোর পরও থামছে না বিএসএফ

  • আপডেটের সময়: শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
  • ১৪ ভিউ

ইনাতগঞ্জ বার্তা ডেস্কঃ  কিছুতেই ঠেকানো যাচ্ছে না ভারতের সুপরিকল্পিত ‘পুশইন’ অপতৎপরতা। পেহেলগাম-কাণ্ডে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত চলাকালে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথ দিয়ে সুযোগ বুঝে পুশইন করা শুরু করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

ইতিমধ্যে গত (৪-১৫ মে) পর্যন্ত মোট ৩৭০ জনকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় পুশইন করেছে বিএসএফ। নতুন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে আরও ৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টা করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সীমান্তের ওপারেও ২০০-৩০০ জনকে জড়ো করে রাখা হয়েছে। এতে পুশইন ঠেকাতে উত্তেজনা বাড়ছে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন এলাকায়। পুশইন বন্ধে বিজিবির মৌখিক ও লিখিত প্রতিবাদ এবং দিল্লিকে পাঠানো ঢাকার কূটনৈতিক চিঠি কোনো কাজে আসছে না।নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, সম্পর্কে চির ধরায় বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে অবৈধ ও ন্যক্কারজনক পুশইন তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত। কূটনৈতিকভাবে এটি সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। এরপরও অবৈধ পুশইন বন্ধ না হলে বাংলাদেশকে বিষয়টি নিয়ে জাতিসঙ্ঘের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে।

গোয়েন্দা সূত্রগুলো বলছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে নতুন এ কৌশলের পথ বেছে নিয়েছে। বিজিবি থেকে জানানো হয়েছে, পুশইন ঠেকাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। প্রয়োজন হলে পুশব্যাক করানোর চিন্তার কথাও জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র।সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি, কুড়িগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজারের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত ভারত থেকে পুশইনের মাধ্যমে আসা ২৯২ জনকে আটক করেছে বিজিবি। তাদের মধ্যে ২৫৩ জন বাংলাদেশি, ১৯ জন রোহিঙ্গা এবং বাকি ২০ জনের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। আর সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে কোস্ট গার্ড আটক করেছে ৭৮ জনকে। সাতক্ষীরায় ৭৮ জনের মধ্যে তিনজন জন্মসূত্রে ভারতের নাগরিক। মোট আটকের সংখ্যা ৩৭০ জন।

বিজিবি সূত্র জানায়, ভারতে জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) নিবন্ধিত ৫ রোহিঙ্গা নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। আটক ব্যক্তিরা একই পরিবারের সদস্য এবং ভারতের আসামের মাটিয়া রিফিউজি ক্যাম্পে বসবাস করছিলেন। সবশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে গভীর রাতে ৭৫০ জনকে পুশইনের চেষ্টা করেছে বিএসএফ। তবে বিজিবি ও স্থানীয় জনতার কঠোর প্রতিরোধের মুখে তারা সেটা পারেনি।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতভর সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করে। তবে পরিস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফ সরে যাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখা দেয়নি। জানা গেছে, ভারতের রাজস্থান থেকে ‘অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশি’ সন্দেহে আটক ১৪৮ জনকে ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে আটক আরও ছয় শতাধিক ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএসএফ। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ কয়েকটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে পুশইন করার সময় ৩০ জনকে আটক করে বিজিবি। এর আগে গত ১৪ মে সিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আরও ৬০ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ। মৌলভীবাজারের বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ৪৪ জন ও সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে পাঠানো হয়েছে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়। তারা এখন বিজিবির অধীনে। আটকদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৮ জন নারী ও ১৩ শিশু। এরও আগে গত ৯ মে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পশ্চিম সুন্দরবনের মান্দারবাড়িয়া চরে ৭৮ জনকে ফেলে যায় বিএসএফ। পরে তাদের আটক করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। পুলিশ বলছে, এদের মধ্যে ৭৫ জন বাংলাদেশি ও তিনজন ভারতীয় নাগরিক। উদ্ধার করাদের বরাত দিয়ে পুলিশ আরও জানায়, তাদের গুজরাট থেকে উড়োজাহাজ-লঞ্চে করে চোখ বেঁধে আনা হয়েছে, অনেকে অসুস্থ এবং কারও কারও শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আছে। গত (৭ মে) পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি ও উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে পুশইন করানোর পর ১২৩ জনকে আটক করে বিজিবি। তাদের মধ্যে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙা, শান্তিপুর ও পানছড়ি সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশকারী ব্যক্তিরাও জানান, তাদের গুজরাট থেকে উড়োজাহাজে করে প্রথমে ত্রিপুরায় নিয়ে আসেন বিএসএফ সদস্যরা। তারপর এক ঘণ্টা হাঁটিয়ে সীমান্ত দিয়ে এ পারে ঠেলে দেওয়া হয়। এদের ভেতর বাংলা ভাষাভাষী ছাড়াও রোহিঙ্গা ও গুজরাটি ভাষায় কথা বলা মানুষও ছিল বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন।

অন্যদিকে পুশইন হয়ে আসা অনেক বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ করেছেন। খুলনার তেরখাদা উপজেলার বাদশা মোল্লা জানান, দালালের মাধ্যমে ভারতের গুজরাটে গিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ করতাম। কিছুদিন আগে পুলিশ আটক করে। তারপর ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে দেয়। তারা আমাদের ভারতীয় কোস্ট গার্ডের কাছে দেয়। কোস্ট গার্ড আমাদের জাহাজে করে বাংলাদেশের সুন্দরবনে ফেলে রেখে যায়। বাদশা মোল্লা অভিযোগ করেন, আটকের পর তাদের মারধর করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে। খাবারও অল্প দেওয়া হয়েছে। পুশইন হয়ে আসা সামির জানান, বাংলাদেশে পাঠানোর আগে তাদের মারধরের শিকার হতে হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।

এদিকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পুশইনের ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভারতের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ। অনতিবিলম্বে পুশইন বন্ধের অনুরোধ জানিয়ে ৯ মে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়। ভারতের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির বাংলাদেশি নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর বিদ্যমান প্রক্রিয়া মেনে বাংলাদেশ তাদের ফেরত নেবে। এর ব্যত্যয় হলে দুদেশের বোঝাপড়ার মধ্যে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে। একইভাবে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশের পরিবর্তে তাদের আদি নিবাস মিয়ানমারেই ফেরত পাঠানো উচিত ভারতের। কোনোভাবে ভারতীয় নাগরিকদের জোর করে বাংলাদেশে পুশইন করাটা উচিত হবে না। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এ ধরনের পুশইন অগ্রহণযোগ্য এবং তা পরিহার করা উচিত।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক এয়ার কমডোর (অব.) ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সম্পর্কে চির ধরায় বাংলাদেশকে চাপে রাখার কৌশল হিসেবে ‘পুশইন’ তৎপরতা চালাচ্ছে ভারত। এ অবস্থায় পুশইন হওয়াদের মধ্যে যারা বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন, তাদের গ্রহণ করা ছাড়া উপায় নেই। তবে অধিকাংশের কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ না থাকায় একটি জটিলতা তৈরি হবে। এ ক্ষেত্রে যাদের পুশইন করা হয়েছে তাদের কেউ ভারতীয় নাগরিক হলে বাংলাদেশও পুশব্যাক করবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কূটনৈতিকভাবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে এ বিষয়গুলো সম্পর্কের ওপর নির্ভর করে। দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি হলে পুশইন থেমে যাবে। এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক আরও বলেন, যাদের পুশইন করা হয়েছে, তাদের সবাই খেটে-খাওয়া মানুষ। অনেকে বলেছেন, তাদের ভারতীয় আধার কার্ডসহ সব ডকুমেন্টস রেখে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আ ন ম মুনীরুজ্জামান জানান, ভারত কাদের পাঠাচ্ছে, কেনইবা পাঠাচ্ছে দুদেশের সরকারের সঙ্গে দেন দরবার না করে কেনইবা পাঠাচ্ছে সেটি কিন্তু উদ্বেগের। কারণ এক দেশের কোনো নাগরিক আরেক দেশে অনুপ্রবেশ করলে তাকে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইনকানুন অনুসরণ করে ফেরত পাঠাতে হয়। কিন্তু ভারত যেভাবে কোনো ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এ মানুষগুলোকে বাংলাদেশে পুশইন করল, তা সম্পূর্ণ বেআইনি, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক রীতিনীতির পরিপন্থী।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘ডিপ্লোম্যাটিক নিয়মের মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হওয়া জরুরি এবং এটি স্বাভাবিক। পুশইনের পরেও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে ডেকে বোঝানো, বলা, রিচ করা; কিন্তু এগুলো না করার কারণ কী। উনি (হাইকমিশনার) না আসারও কারণ নেই। উনি আসতে বাধ্য, এটি প্রটোকল। অভিবাসন ও শরণার্থীবিষয়ক বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনীর বলেন, ভারত যাদের পুশইন করছে তাদের মধ্যে যারা বাংলাদেশি তারা কী উদ্দেশ্যে, কবে ভারতে গিয়েছিল, কীভাবে গিয়েছিল, তাদের ভারতীয় বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল কি না, এসব বিষয়ে প্রশ্ন করা দরকার। এ ছাড়া যাদের পাঠানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ভারতে অথবা বাংলাদেশে কোনো মামলা ছিল কি না কেস বাই কেস দেখা দরকার।

পুশইন শুরুর পর সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গাবিষয়ক হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান বলেন, আমরা প্রতিটি কেস আলাদা আলাদাভাবে নিরীক্ষণ করছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আমাদের দেশের নাগরিক যদি কেউ হয়ে থাকেন, আর সেটা যদি প্রমাণিত হয়, তা হলে তাদের আমরা গ্রহণ করব। তবে এটা ফরমাল চ্যানেলে হতে হবে। এভাবে পুশইন করাটা সঠিক প্রক্রিয়া নয়।

বিজিবি মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ভারত তাদের দেশের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়াকে (পুশইন) মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। যাদের পুশইন করেছে, এর মধ্যে একটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো কিছু রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে, যারা ভারতের ইউএনএইচসিআরের (জাতিসঙ্ঘের শরণার্থী বিষয়ক কমিশন) তালিকাভুক্ত শরণার্থী। তাদের আইডি কার্ডও আমাদের কাছে আছে। খাগড়াছড়ি সীমান্ত দিয়ে ২০০-৩০০ জনকে পুশইনের তথ্যও জানান তিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুশইন না করায় বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদলিপি পাঠিয়ে জোরালো প্রতিবাদ জানিয়েছে বিজিবি। এ ছাড়া পুশইন রোধে বিজিবি সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে সজাগ দৃষ্টি রাখছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্মসচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, পুশইন ভবিষ্যতে আরও হবে কি না তা বলা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশ থেকে পুশব্যাক করার চিন্তা সরকারের আছে। উল্লেখ্য, ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, গত এক মাস ধরে দেশটির পূর্ব সীমান্ত দিয়ে আটক অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের ‘ফেরত পাঠাচ্ছে’। একটি ঘটনায় ৪ মে গুজরাটে আটক করা ‘৩০০ অবৈধ অভিবাসীকে’ এয়ার ইন্ডিয়ার দুটি উড়োজাহাজে ত্রিপুরার আগরতলায় নিয়ে স্থল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে ২০০ জন নারী ও শিশু। ২৬ এপ্রিল গুজরাট পুলিশ আহমেদাবাদ এবং সুরাট থেকে এক হাজার জনেরও বেশি সন্দেহভাজন বাংলাভাষীকে আটক করে। গত ১৪ মে রাজস্থানের আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী যোগরাম প্যাটেল জয়পুরে বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী প্রায় এক হাজার সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিককে চিহ্নিত করা হয়েছে। ১৪৮ জন বাংলাদেশি নাগরিকের প্রথম দলকে যোধপুরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং বুধবার বিমানে কলকাতায় পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। এর আগে ১০ মে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গুয়াহাটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সরকার আইনি পথ না মেনে অনুপ্রবেশ রোধে পুশব্যাক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের একটি গণমাধ্যমে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের আগস্টে বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে, রাজ্যগুলো দেশে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। গত ২২ এপ্রিল পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার পর এ গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গণমাধ্যমটি উল্লেখ করে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত পূর্ব সীমান্ত অতিক্রমের সময় ভিসা এবং পাসপোর্টবিহীন ৩৩৭ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছিল। এরপর আগস্ট থেকে এ বছরের ২১ মার্চ পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে ৯০৬ জনকে। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ৪১১ জন বহির্গমন রেকর্ড করা হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com