নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জ পৌর শহরের পানি নিস্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, নবীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের পাশ হতে আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত, ৮৫০ মিটার ড্রেন নির্মাণে, ২কোটি ৪২লক্ষ ৮০হাজার ৩শত ৯৫ টাকা বরাদ্দে কাজটি করছে এস এম এন্টার প্রাইজ নামের ঢাকা উত্তরার একটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাস্তবে কাজটি করছেন স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোক।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কাজের শুরু থেকেই এই কাজে ব্যাপক অনিয়ম তারা দেখছেন। মাটি মিশ্রিত নিম্ন মানের বালু, পাথর, সিমেন্ট সহ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ছোট সাইজের রড়। এমন কি যখন তারা ঢালাই করেন তখন সেখানে থাকেন না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রকৌশলী/সহ প্রকৌশলী বা তাদের নিয়োজিত কোন লোক।
সরজমিন ঘুরে দেখা যায় নবীগঞ্জ পৌর শহরের ওসমানী রোড়ে রাতের অন্ধকারে চলছে ড্রেন নির্মাণের ঢালাই কাজ। কাজে ব্যবহৃত পাথরের স্তূপের কাছে গেলে দেখা যায় শ্রমিকরা যে পাথর মিক্সিং করছেন তার মধ্যে প্রচুর মাটি, শ্রমিকদের মাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পাথরে কিছু মাটি আছে তা পরিস্কার করা হয়নি বলে জানান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতিবেদকের সামনে আসেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফাহিম ইসলাম নামে এক জন। তাকে এই মাটি মিশ্রিত পাথর সম্পর্কে জানতে চাইলে পাথর সাপ্লাই কারীকে দোষারূপ করে এমন পাথর কাজে আর ব্যবহার করবেন না বলে জানান।
টেকসই কাজের জন্য এই কাজে ২০ মিলি ডায়োন ভল্ডার ভাঙ্গা পাথর ও সারি বালু ব্যবহার করার কথা থাকলেও এর কিছুই ব্যবহার হচ্ছে না। সিমেন্ট এবং রডেও রয়েছে অনেক অনিয়ম, রাস্তার পাশে স্তূপ করে করে রাখা হয়েছে কাজে ব্যবহার করার জন্য মাটি মিক্স বালু ও মরা পাথর।
সরজমিনে আরো দেখা যায় রাস্তার উপর দীর্ঘ জায়গা জুড়ে মালামাল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নেই কোন সতর্কবার্তা সাইনবোর্ড, শ্রমিকদের সেফটির জন্য নেই মাথায় কোন হেলমেট,পায়ে নেই সেফটি বুট জুতা
পাশের এক ব্যবসায়ী বলেন, এরকম নিম্ন মানের পাথর বালু দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করলে কিছুতেই টেকসই হবেনা। ড্রেনে পানি আসার সাথে সাথে ডেমেজ হয়ে ড্রেন ধসে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
আর যত্রতত্র ছড়ানো মালামালের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফাহিম ইসলামের কাছে নিম্ন মানের পাথর বালুর কথা আরো জানতে চাইলে সে বলে, প্রকৌশলীদের নির্দেশে নিম্ন মানের পাথর বালু সাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছি, পরবর্তীতে সঠিক মালামাল এনে কাজ করবো,
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী সহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কিছু নিম্ন মানের মালামাল কাজে ব্যবহারের জন্য সাইটে আনলে এই নিম্ন মানের পাথরগুলো আমাদের নজরে আসে। এবং ঠিকাদার প্রতিনিধি ফাহিম ইসলামেকে সাথে সাথে উক্ত পাথর কাজে ব্যবহার না করার জন্য নির্দেশ প্রদান করি এবং নিম্ন মানের পাথর দ্রুত সাইট থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন এবং সঠিক মানের মালামাল না নিয়ে আসা পর্যন্ত কাজ স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন তিনি।
Leave a Reply