1. admin@inathganjbarta.com : inathganjbarta :
  2. iqbalpress02@gmail.com : ইকবাল তালুকদার : ইকবাল তালুকদার তালুকদার
  3. manna820@gmail.com : আলী জাবেদ মান্না। : আলী জাবেদ মান্না।
  4. masudsikdar26@gmail.com : Masud Sikdar : Masud Sikdar
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নবীগঞ্জ বাহুবলের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবুল হোসেন জীবন ভিপি নুরের সাথে সাক্ষাৎ মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের ওপর ইসলাম বিদ্বেষ চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে: তথ্য উপদেষ্টা আমাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ না দিলে ঈদের নামাজে যাব না: সিরাজ রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়: জাতিসংঘ মহাসচিব হবিগঞ্জে বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হা ম লা, নারী-পুরুষসহ আ হ ত ১২ প্রশাসনের ঢিলেঢালা আচরণে দুষ্কৃতকারীরা আশকারা পাচ্ছে: রুহুল কবির রিজভী ঈদকে সামনে রেখে বানিয়াচংয়ের বড়বাজার সিএনজি মালিক সমিতির সদস্যদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক আর নেই গনঅধিকার পরিষদের ইফতার পরবর্তী আলোচনা সভায় যোগ দেন জীবন জগন্নাথপুর সাংবাদিক ফোরামের কমিটি গঠন

রাজনগরে অবাধে বিক্রি হচ্ছে আবাদি জমির মাটি, ক্ষ*তিগ্রস্ত গ্রামীন রাস্তাঘাট

  • আপডেটের সময়: সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৬ ভিউ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।। রাজনগরে সর্বত্র অবাধে বিক্রি হচ্ছে আবাদি জমির মাঠি। কৃষি বিভাগের ভাষায় যাকে টপ সয়েল (মাটির উপরের উর্বরা অংশ) বলে। জমির মালিকরা সামান্য টাকার লোভে ইটভাটা ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পরে ফসলি জমির এ টপ সয়েল বিক্রি করে দিচ্ছে। ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি আবাদযোগ্য জমির উর্ব্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। ভাটার ইট তৈরী, রাস্থা নির্মাণ, বসতভিটা উচু করা সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে এই মাটি ব্যব‎হৃত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ রাস্তাঘাট।

 

 

রাজনগরের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে স্থানীয় লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, প্রতি বছর ডিসেম্বর হতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই তিন মাস ইটভাটার ব্যবসায়ীরা দালালের মাধ্যামে রাজনগরের সহজ সরল কৃষক ও জমির মালিকদের টাকার লোভ দেখিয়ে আবাদি জমির মাঠি ক্রয় করেন। জমির মালিকরা এর কুফল বিবেচনা না করে স্বল্প দামে আবাদি জমির এ ‘টপ সয়েল’ বা শীর্ষ মাটি বিক্রি করেন।

 

এ বছর রাজনগরে ভয়াবহ বন্যার কারণে কৃষকরা আমন ধান আবাদ না করতে পারায় অভাবের কারনে ফসলি জমির মাটি বিক্রি অনেকটা বেড়ে গেছে।

 

 

এলাকায় অসংখ্য ইটভাটা থাকায় প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকের লোকজন অতি কৌশলে জমির মালিকদের লোভ দেখিয়ে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে। স্থানীয় বাজারে প্রতি হাজার ঘনফুট মাঠির দাম দুরত্ব, অবস্থান ও প্রকার ভেদে ৮’শ থেকে ১২’শ টাকা। আবার দুরত্ব অনুযায়ী পরিবহন খরচের ওপর মাঠির দাম কম-বেশী হয় বলে বেশ কয়েক জন মাটি ব্যবসায়ী জানান।

 

মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে মাটি কিনে প্রতি হাজার ঘনফুট মাঠিতে ৩শ থেকে ৪শ টাকার লাভে জেলার বিভিন্ন ইটভাটা মালিক এবং রাস্থা নির্মানকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের কাছে বিক্রি করছে। এর মধ্যে ইট পোড়ানোর উপযোগী মাটির মূল্য বেশী। কৃষি ফসলের মাঠের ক্ষতি সাধন সহ কৃষি ক্ষেত্রে এসব অপতৎপরতা প্রতিরোধ করতে কৃষি বিভাগ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার বিধান থাকলেও সংশ্লিষ্ট বিভাগ বরাবরই নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে রাজনগরের সচেতন মহলের অভিযোগ।

 

 

এব্যাপারে রাজনগর এম.এইচ.এস ব্রিকসের মালিক সৈয়দ আনকার আলী বলেন, ইট তৈরীতে মাটির প্রযোজন হয়। এ মাটি জমির মালিকরা নিজ উদ্যোগে বিক্রি করেন।

 

তবে জমির সাময়িক কিছু ক্ষতি হলেও বিভিন্ন ধরণের সার দিলে উর্বরা শক্তি স্বাভাবিক থাকে। এছাড়াও মাটির গাড়িতে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে বলে তিনি স্বীকার করেন।

 

রাজনগরের বিভিন্ন এলাকার পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানান, প্রতি বছর টপ সয়েল বিক্রি বা অপসারনের কারনে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, এবং পার্শ্ববর্তী আবাদি জমির চরম ক্ষতি হচ্ছে। ঘরবাড়ি ও গাছপালার ভীত দুর্বল হয়ে পড়ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ রাস্থাঘাট। ধূলাবালিতে সয়লাভ মানুষের বসতবাড়ি। নেতিবাচক এসব কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান।

 

 

এ বিষয়ে রাজনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল আমিনের নিকট জানতে চাইলে তিনি আবাদ যোগ্য জমির মাটি বিক্রি অন্যায় এবং তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার বিধান রয়েছে বলে স্বীকার করেন। তবে বাস্তব অবস্থা সরেজমিনে না দেখে বিস্তারিত বলা যাবেনা বলে জানান।

এই পোস্টটি আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা অথবা ভিডিও কপি করা সম্পূর্ণ বেআইনি @2025
Desing & Developed BY ThemeNeed.com